যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দিয়েছেন, প্রয়োজনে বিদেশি অপরাধী গোষ্ঠীগুলোকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এজন্য মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতা নেওয়া হবে। ইকুয়েডর সফরে গিয়ে তিনি বলেন, “এখন তারা আমাদের এই লোকদের খুঁজে বের করতে এবং উড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে, যদি দরকার হয়।”
রুবিও জানান, ইকুয়েডরের কুখ্যাত দুটি অপরাধী গোষ্ঠী লস লোবোস ও লস চোনেরোস-কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণা এমন একসময় এসেছে, যখন মার্কিন সামরিক বাহিনী দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি সন্দেহভাজন মাদক চোরাকারবারি নৌকায় হামলা চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছে। যদিও নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এই সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ছিল ভেনিজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ট্রেন ডে আরাগুয়া। তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরেই মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের হামলা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রুবিও আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইকুয়েডরকে মাদকবিরোধী নিরাপত্তা সহায়তায় ১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার এবং ড্রোন প্রযুক্তিতে ৬ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি দেশজুড়ে অপরাধী গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছেন এবং বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ কোকেন এখন ইকুয়েডরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ায় পাচার হয়ে থাকে। ফলে দেশটিকে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের অন্যতম প্রধান রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।