পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর ২ নং ওয়ার্ডে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক অসহায় পরিবারের বসতঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিপক্ষের জমি দখলের স্বার্থে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক সরদার ও জালাল সরদারের মধ্যে ৩৩ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, শালিসকারীরা কাগজপত্র যাচাই না করেই ঘর ভেঙে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দেন।
শালিসের পরদিন সকালেই ফারুক সরদার তার ছেলে আজিজুল, ইমরান, সাকিলসহ কয়েকজন মিলে জালাল সরদারের ঘরের মালপত্র বাইরে ফেলে বসতঘরটি ভেঙে ফেলেন। ভুক্তভোগী জালাল সরদার বলেন, “আমি বাবার কাছ থেকে জমি কিনে ২০ বছর ধরে বসবাস করছি। শালিসকারীরা আমাকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ ঘর ভাঙতে বাধা দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।”
অভিযুক্ত ফারুক সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শালিস বৈঠকের রায়ের ভিত্তিতেই তিনি ঘর ভেঙে জমি দখল নিয়েছেন। তবে শালিসদার মন্টু মাস্টার জানান, জালাল সরদারকে জমি ছাড়ার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল, হঠাৎ ঘর ভাঙা অনাকাঙ্ক্ষিত।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শালিসে প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং অসহায় পরিবারকে হয়রানি করেছে। তারা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”