1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বান্দরবানে ফিরছে পর্যটক - RT BD NEWS
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বান্দরবানে ফিরছে পর্যটক

বান্দরবান প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বান্দরবানে ফিরছে পর্যটক

বান্দরবানের চার উপজেলায় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে জেলার পর্যটনশিল্পে প্রাণ সঞ্চার হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তবে বেশিরভাগ পর্যটক দিনেই ভ্রমণ শেষ করে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।

গত ৮ অক্টোবর নিরাপত্তাজনিত কারণে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর ৬ নভেম্বর চার উপজেলা—বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়িতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি উপজেলায় এখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার সকালে বান্দরবান বাসস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা অনেক পর্যটক চাঁদের গাড়ি বা জিপের জন্য অপেক্ষা করছেন। পর্যটকদের মধ্যে চিম্বুক ও নীলগিরি এলাকা সবচেয়ে জনপ্রিয়।

বান্দরবানের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর পর্যটক। গাড়ি ভাড়ার পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। স্থানীয় জিপ-কার-মাইক্রোবাস স্টেশনের লাইনম্যান ফখরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি গাড়ি ভাড়া হচ্ছিল, যা শুক্রবার বেড়ে ১১০টি হয়েছে।

ঢাকা থেকে আসা তরুণ রুবেল হাসান জানান, বান্দরবানের পাহাড় ও সবুজ বন তাঁর খুব প্রিয়। ১২ জনের একটি দল নিয়ে তিনি বান্দরবান ভ্রমণে এসেছেন। তবে রুমা ও থানচি যেতে না পারায় কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করেন। চট্টগ্রাম থেকে আসা আবদুর রহমান জানান, চারটি পরিবার একত্রে পাহাড় দেখতে এসেছেন এবং শহরের হোটেলে থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখছেন।

পর্যটকদের ভিড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হচ্ছেন। শৈলপ্রপাতে ফল বিক্রেতা সিয়ামপুই বম বলেন, গত কয়েক দিনে পর্যটক বাড়ায় তাঁর বিক্রিও বেড়েছে। কোমর তাঁতের কাপড় বিক্রেতা জুলি বম জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত মাসে তাঁদের আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন পর্যটক আসায় ব্যবসা আবার চাঙা হয়েছে।

জেলা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জানান, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হোটেলে ৩৫ শতাংশ এবং পরিবহনে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে পর্যটকদের রাত যাপনের হার কম। ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষার মৌসুম শেষ হলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পর্যটকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক বখতিয়ার উদ্দিন জানান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর চার উপজেলায় পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় পর্যটন ধীরে ধীরে চাঙ্গা হচ্ছে।

বান্দরবানের পর্যটন শিল্প নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। পাহাড়, বন, এবং মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে পর্যটকেরা ছুটে আসছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং রাত যাপনকারী পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে বান্দরবানের পর্যটনশিল্প আরও বিকশিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট