
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘সবার জন্য সমান সুযোগ’ নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, “ইসির একার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা সম্ভব নয়। এজন্য গণমাধ্যম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার ও জনগণ—সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
সভায় চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার শুরুতে সিইসি জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ চলছে এবং এর শেষ ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, “জাতির কাছে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। এই সংলাপ কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং গণমাধ্যমের মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা অপরিহার্য।”
সিইসি নাসির উদ্দিন আরও জানান, সরকার পরিবর্তনের পর নভেম্বর মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাচন কমিশন নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। “ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন করা হয়েছে। নারী ভোটারদের আগ্রহ ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ২১ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ৪৩ লাখ নতুন ভোটারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ফলে পুরুষ ও নারী ভোটারের ব্যবধান ৩০ লাখ থেকে কমে ১৮ লাখে নেমেছে,” বলেন তিনি।
এছাড়া তিনি জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ভোটিং ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা এক ধরনের সংকর পদ্ধতি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদেরও এই ভোটিং ব্যবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে।
সিইসি বলেন, “আমাদের কিছুই লুকানোর নেই। দেশ ও বিশ্বকে দেখাতে চাই একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আয়নার মতো পরিষ্কারভাবে নির্বাচন করতে চাই। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা অপরিহার্য। শিগগিরই ভোটারদের জন্য সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা হবে।”