
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের পারানা রাজ্যের রিও বোনিতো দো ইগুয়াকু শহরে ভয়াবহ টর্নেডোর তাণ্ডবে অন্তত পাঁচ জন নিহত ও ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে পুরো শহর প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৮ নভেম্বর) পারানা রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টর্নেডোতে ৫ জন নিহত, ৪৩২ জন আহত এবং অন্তত দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, টর্নেডো আঘাত হানার সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে গাড়ি উল্টে যায়, ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়, এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পারানার পরিবেশগত প্রযুক্তি ও পর্যবেক্ষণ সংস্থা (SIMEPAR) জানিয়েছে, প্রায় ১৪ হাজার জনসংখ্যার শহরটির ৮০ শতাংশ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, ভেঙে পড়েছে শত শত ঘরবাড়ি, ধ্বংস হয়েছে অবকাঠামো।
পারানা সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির প্রধান ফার্নান্দো শুনিগ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জি১-কে বলেছেন, “এটি যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। শহরের ঠিক মাঝখান দিয়ে টর্নেডোটি বয়ে গেছে, তাই ধ্বংসযজ্ঞ এতটা ভয়াবহ।”
দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় পারানা, সান্তা ক্যাটারিনা ও রিও গ্র্যান্ডে দো সুল রাজ্যে নতুন করে বিপজ্জনক ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ ব্রাজিলে টর্নেডোর সংখ্যা বেড়েছে, যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন বড় ভূমিকা রাখছে।