ইরান শিগগিরই ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো বর্তমানে আলোচনা পুনরায় শুরু করার আগ্রহ দেখিয়েছে। ইরানও সম্ভবত খুব শিগগিরই তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করবে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন আরাগচি। তিনি বলেন, যদি সংস্থাটি পারস্পরিক যোগাযোগের পথ বেছে নেয়, ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতায় প্রস্তুত। তবে, সংস্থার বোর্ড অব গভর্নরস যদি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো নতুন প্রস্তাব জারি করে, সেক্ষেত্রে ইরানও নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরাগচি জোর দিয়ে বলেন, “আইএইএ একটি প্রযুক্তিগত সংস্থা। তাদের শুধু প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে কাজ করা উচিত; রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করার অধিকার তাদের নেই। আমাদের আচরণ সবসময় পেশাদারিত্বমূলক।”
ইরান ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) চুক্তি অনুযায়ী তার বাধ্যবাধকতা পালন করে আসছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা ভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইরানও চুক্তির কিছু অঙ্গীকার স্থগিত করে। ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এ ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আরাগচি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ইরান আইএইএ এবং এনপিটি (পরমাণু বিস্তার রোধ চুক্তি) এর অধীনে তার দায়বদ্ধতাগুলো মেনে চলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবুও, ইরান আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় এবং ইউরোপের সঙ্গে আলোচনা শিগগিরই শুরু হতে পারে।”
পরমাণু কর্মসূচি চুক্তি পুনরায় শুরু হলে এটি ইরান ও ইউরোপের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার অবসান ঘটাতে ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তি পুনরুদ্ধার হলে তা শুধু দুই পক্ষের মধ্যেই নয়, বরং গোটা বিশ্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সহায়ক হবে।