1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
২০২৭ সালের মধ্যে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা দায়িত্ব ইউরোপের নিতে হবে—যুক্তরাষ্ট্রের চাপ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো চূড়ান্ত নয়—ইসি কালীগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুরআন খতম ও গণদোয়া মাহফিল পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৫ ডিগ্রিতে ঝিনাইদহে গর্ব ও শ্রদ্ধায় পালিত হানাদারমুক্ত দিবস জুলাই বিপ্লব তরুণদের ম্যানপাওয়ারে রূপান্তর করেছে: ভিপি সাকিক কায়েম এলজিইডির উন্নয়ন কাজ বদলে দিচ্ছে কালীগঞ্জের গ্রামীণ জনপদ ভারতে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রাখার ঘোষণা পুতিনের সহকারী অধ্যাপক ড. আক্তার হাসানের ইন্তেকাল: কালীগঞ্জে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন দিঘলিয়ায় ৮ দলের সমাবেশে যোগ দেওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম থেকে বের করে দিলেন সভাপতি

কাহারোলে ৩৩ কোটি টাকায় স্বপ্নের সেতু নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ পরিদর্শন করলেন যুগ্ম সচিব

সুকুমার রায়, কাহারোল, দিনাজপুর
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
দিনাজপুরের কাহারোলে ৩৩ কোটি টাকায় ১৫ গ্রামের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্নের সেতু নির্মাণের ভূমি অধিগ্রহণ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান। সেতুটি হলে লাখো মানুষের দুর্ভোগ ঘুচে যাতায়াতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ১৫ গ্রামের মানুষের স্বপ্নের সেতু নির্মাণ কাজ। ৩৩ কোটি টাকার এ উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব (নগর উন্নয়ন–১ অধিশাখা) আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি কাহারোলের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের পরমেশপুর এলাকায় ঢেপা নদীর তীরে এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি পরিদর্শন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, পল্লী সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাকির সিকান্দার, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুর রহমান এবং উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আহমেদ। কর্তৃপক্ষ জানান, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে সেতুটি হবে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য যুগান্তকারী অবদান।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদী পারাপারে তাদের ভরসা কেবল বাঁশের সাঁকো ও বর্ষা মৌসুমে দুটি নৌকা। প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল এ ঘাট দিয়ে পার হয়, যার জন্য অনেককে ইজারাদারের কাছে ভাড়া দিতে হয়। স্থানীয় ঘাট ইজারাদার সুধীর চন্দ্র রায় প্রায় ১৮ বছর ধরে এ ঘাট পরিচালনা করছেন। তার ভাষায়, “পরিচিত মানুষের কাছে ভাড়া চাওয়া যায় না। কেউ দেয়, কেউ দেয় না। তবে সেতু হলে আমরা সবাই উপকৃত হবো।”

ঢেপা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং এখানে দুই পাড়ের দূরত্ব প্রায় এক হাজার ফুট। শুকনা মৌসুমে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চলাচল করে। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঘাটপাড়ে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। নদীর দুই পাশে নির্মিত হয়েছে যাত্রীছাউনি, কিন্তু সেতুর অভাবে যাতায়াত ছিল চরম দুর্ভোগের।

পূর্বপাড়ের মানুষদের উপজেলায় যেতে ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। জেলা শহর বা সৈয়দপুর যেতে হলে বেড়ে যায় আরও ১৬-১৮ কিলোমিটার। সেতু হলে যাতায়াতের এ দূরত্ব কমবে ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত। ভ্যানচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, “রাত হয়ে গেলে ভ্যান পাওয়া যায় না। যাত্রীদের হাঁটতে হয় কয়েক কিলোমিটার। সেতুটি হলে এই কষ্ট আর থাকবে না।”

পরমেশপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন এমপি-মন্ত্রীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সেতুর অনুমোদন হয়নি। এখন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ১৫ গ্রামের মানুষ স্বপ্নের সেতু হিসেবে দেখছেন এটি।”

উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ নিশ্চিত করেন যে ঢেপা নদীর ওপর প্রায় ২৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণে ৩৩ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৭ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাটি পরীক্ষা, নকশা ও ড্রইং সম্পন্ন হওয়ার পর এখন আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

এই সেতু নির্মাণ শেষ হলে ১৫ হাজারের বেশি মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী এবং রোগীদের যাতায়াত হবে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। স্থানীয়দের প্রত্যাশা—এই সেতুই বদলে দেবে তাদের জীবনের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অধ্যায়।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট