
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভুয়া সাংবাদিক শনাক্তে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের পরিচয়পত্রে থাকবে কিউআর কোড, যা স্ক্যান করলেই জানা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যিকারের সাংবাদিক কিনা। এই নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) আয়োজিত সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে কমিশন কাজ করছে। ভুয়া সাংবাদিকদের কারণে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ সমস্যা দূর করতেই কিউআর কোড সম্বলিত পরিচয়পত্র কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, “ভুয়া সাংবাদিকরা যেন আর কোনোভাবে কার্ড দেখিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। সামনের নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক পথচলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ টোন সেটিং হিসেবে কাজ করবে। ভালো নির্বাচন করতে হলে সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কমিশন একা এটি করতে পারবে না—এটি জাতির স্বার্থের বিষয়।”
ভোটগ্রহণের সময় প্রসঙ্গে তিনি জানান, একজন ভোটার গড়ে ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় নেবেন। কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ না থাকায় এই সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) কমিশন বৈঠক করবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। এছাড়া ইসি সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য দেন এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন করণীয় তুলে ধরেন।