
দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। হিমালয় থেকে নেমে আসা হিমশীতল বায়ু ও ঘনকুয়াশায় পুরো জেলার জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহেই যেন পৌষের কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের তীব্রতা, ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তেঁতুলিয়াসহ পঞ্চগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা।
শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। ঘনকুয়াশায় সকাল থেকেই দৃশ্যমানতা কমে যায়। সন্ধ্যার পর পুরো জেলাজুড়ে কুয়াশার চাদর নেমে আসে। যদিও সকাল ৯টার পর সূর্যের দেখা মিলেছিল, কিন্তু বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রার এই ধারাবাহিক পতন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছে। হিমালয় পাদদেশে অবস্থান করা পঞ্চগড়ে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, “এই সপ্তাহেই তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” আবহাওয়া অফিসের মতে, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ইতোমধ্যে খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষেরা শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। ঘনকুয়াশায় পরিবহন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে। স্থানীয়রা জানান, শীত নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। তাই শীত মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন তারা।
পঞ্চগড়ে শীতের এ আগাম আগমন শীতপ্রবাহের সতর্ক সংকেত দিলেও স্থানীয়দের প্রস্তুতি খুবই সীমিত। তাই মানুষের দুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজন দ্রুত সহায়তা ও কার্যকর ব্যবস্থা।