
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি। প্রয়োজনে এ বিষয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা চাইলে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং যেসব প্রার্থী অস্ত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অস্ত্র ফেরত দেওয়া হবে।
এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেছেন। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সব দিক বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আচরণবিধির সঙ্গে এর সরাসরি কোনো বিরোধ দেখছি না। তবে প্রয়োজনে আচরণবিধিতে সামান্য সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজন করা হতে পারে।”
ভোটের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার বিধান প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, এটি সময়ের ওপর নির্ভরশীল। পরিস্থিতি অনুযায়ী বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। নিরাপত্তার প্রশ্ন সামনে এলে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অস্ত্রের অনুমোদন দিলে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, “এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এখতিয়ারভুক্ত। তিনি নিশ্চয়ই কোনো নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হলে ভুল ব্যাখ্যার আশঙ্কা রয়েছে।”
এদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রায় ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলেও জানিয়েছেন ইসি সচিব।
তিনি জানান, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি (Administrative Arrangement) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
ইসি সচিব আরও জানান, এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য আইভার্স ইজাপস। বিভিন্ন ধাপে পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে এসে নির্বাচনী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।