1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চিয়া সিড খাওয়ার আশ্চর্য উপকারিতা: মাত্র এক সপ্তাহে শরীরে পরিবর্তন মুন্সীগঞ্জে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আমজাদ হোসাইন কারাগারে প্রেরণ অর্থনীতি স্থিতিশীলতায় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নেমে আসবে: প্রধান উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন গণঅভ্যুত্থান দিবসে শহিদ সাফওয়ানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল জো রুটের ক্যারিয়ারের অপূর্ণতা: অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মাটিতে শতকের অপেক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটন ও ব্যবসা ভিসা পেতে লাগবে ১৫ হাজার ডলার জামানত জুলাই আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা দিঘলিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও মিছিল অনুষ্ঠিত

“শহীদের বাবা মেঝেতে শোয়া: স্বাস্থ্য সেবায় ত্রুটি নিয়ে তাসনিম জারার ক্ষোভ!”

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ডা. তাসনিম জারা

সম্প্রতি, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে এক শহীদের বাবা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়ে সঠিক সেবা না পাওয়ার কারণে মেঝেতে পড়ে থাকার ঘটনা দেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান জানাতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগের প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তাসনিম জারা তার পোস্টে বলেন, ‘‘শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান শুধু কথায় নয়, কাজে দেখাতে হবে’’। গত ১১ ডিসেম্বর, তিনি জানতে পারেন যে, আবু সাঈদের বাবা গুরুতর অসুস্থ হলে, তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে আনা হয়। এটি অনেকের কাছে একটি সান্ত্বনা হিসেবে মনে হয়েছিল, কারণ তারা ভাবেন যে, শহীদের পরিবার রাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্মান পাচ্ছে। তবে, একই দিনে, তাসনিম জারা আরও একটি ঘটনা জানতে পারেন যা বাস্তবতার কঠিন চিত্র তুলে ধরে।

একজন শহীদের বোন দুপুর ১২টায় ফোন করে জানায়, তার বাবা গুরুতর অসুস্থ এবং ডাক্তার তাকে আইসিইউতে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালের প্রশাসন সাহায্য করছে না। দুই বোন অসহায়ের মতো হাসপাতালের এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন, এবং তাসনিম জারা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, শহীদ পরিবারের সদস্য মেঝেতে পড়ে আছেন। হাসপাতালের সহকারী ডিরেক্টরকে খুঁজে কথা বলার পর কিছুক্ষণের মধ্যে একটা বেড ব্যবস্থা হয়, তবে দেরিতে চিকিৎসা পাওয়ার ফলে তার শারীরিক অবস্থা কী প্রভাবিত হয়েছে, সে প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পরও এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া নিয়ে তাসনিম জারা তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল যে, শহীদ পরিবার ও আহতদের ফাস্ট ট্র্যাক সেবা দেওয়া হবে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। হাসপাতালে শহীদ পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা না থাকা, রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পালন না হওয়ার জন্য তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছেন।

তাসনিম জারা লিখেছেন, ‘‘হাসপাতালের নাম উল্লেখ করছি না, কারণ সমস্যাটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়, এটি পুরো সিস্টেমের সমস্যা।’’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে শহীদ পরিবারগুলোর জন্য ঘোষণা করা বিশেষ সুবিধা বাস্তবায়ন করছে? এ বিষয়ে কি কোনো মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে? পরিবারগুলো যদি অভিযোগ করে, তা কোথায় জানাবে? এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ কী?’’

তাসনিম জারা তার পোস্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেছেন:

১. হাসপাতালে সাইনবোর্ড বা পোস্টার বসানো: তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন, হাসপাতালের প্রবেশপথ এবং প্রধান অংশগুলোতে সাইনবোর্ড বা পোস্টার বসানোর জন্য। এসব পোস্টারে শহীদ পরিবারের সদস্যদের জানানো হবে, তারা যদি সাহায্য চান, তবে কোথায়, কাকে এবং কীভাবে যোগাযোগ করবেন তা স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে।

২. ২৪/৭ হেল্পলাইন চালু: শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে একটি ২৪/৭ হেল্পলাইন চালু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই হেল্পলাইনে একেবারে কার্যকর প্রোটোকল তৈরি করা এবং হেল্পলাইন অপারেটরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি।

৩. নিরপেক্ষ তদারকি কমিটি গঠন: তিনি একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মাধ্যমে প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত করা হবে এবং অভিযোগকারীদের জানানো হবে যে তাদের অভিযোগের ফলাফল কী হয়েছে।

তাসনিম জারা তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘‘এখানে আকাশ-কুসুম কোনো দাবি করিনি। শুধু আপনাদের পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে বলছি।’’ তিনি সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘কথার চেয়ে কাজ দিয়ে শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’’

তাসনিম জারার এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, শুধু ঘোষণা দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না। বাস্তবে এসব সুবিধা কার্যকরভাবে প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা একান্ত জরুরি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট