জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি আয়কর এবং ভ্যাট সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার লক্ষ্য হলো রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এনবিআরের ঘোষণা অনুযায়ী, আয়কর অব্যাহতির কিছু বিধান বাতিল ও সংশোধন করা হয়েছে, যা দেশের আয়কর অব্যাহতির সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং টেকসই অর্থনীতি গড়তে সাহায্য করবে।
এনবিআর জানায়, বর্তমানে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, এই বৃদ্ধির আওতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলি থাকবে না, ফলে সাধারণ জনগণের ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হবে না এবং মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই পদক্ষেপগুলোর লক্ষ্য হলো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো, এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট) বাস্তবায়ন এবং স্বাবলম্বী জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে কাজ করা।
এনবিআর জানিয়েছে, গত চার মাসে ৮টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে যেমন চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল ও কীটনাশক সহ শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়ার ফলে রাজস্ব আদায় কমেছে। তবে, এনবিআর বলছে যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি না হলে, বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি হতে পারে। এজন্য আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া, বিভিন্ন খাতে ভ্যাটের হার ও পরিমাণ যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে এনবিআর অবিচল কাজ করছে।
এনবিআরের এই পদক্ষেপগুলো দেশে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে।