1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সারা দেশে টানা বৃষ্টি, বাড়ছে অতি ভারি বর্ষণের শঙ্কা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ কালীগঞ্জে শতবর্ষী গাছ উপড়ে ভবনের উপর, আগুনে আহত ১ আগামীকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা’ ঘোষণা নেছারাবাদের শতবর্ষী পেয়ারা বাগানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য: লাউডস্পিকার জব্দ দিনাজপুরের কাহারোলে নিষিদ্ধ ঘোষিত দুই ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার জামালপুরে যুবসমাজের প্রতিবাদ—শুভ পাঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি খুলনার দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা, প্রাক্তন স্বামীর ওপর সন্দেহের তীর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টেক্সওয়ার্ল্ড অ্যাপারেল মেলা ২০২৫-এ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবনের প্রদর্শনী দেখাল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে স্কুল ছাত্রের পঙ্গুত্ববরণ

মো: নাজমুল হোসেন পিরোজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
জিহাদুল ইসলাম (১৪)
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে এক স্কুল ছাত্রকে  পা হারিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ঐ শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ঘেরাও করে পরে এটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জানা যায়, জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাড়ি নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামে। সে আমিনুল ইসলাম মিলনের ছেলে। সে নবম শ্রেণীর ছাত্র। কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে পা য়ে ব্যথা পায়। এ অবস্থায় নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে গেলে চিকিৎসকরা পায়ের গোড়ালি এক্সরে করার জন্য তাকে হাসপাতাল সংলগ্ন হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠায়। সেখানকার টেকনিশিয়ান চিকিৎসকের দেওয়া পরীক্ষার কাগজ না দেখে হাঁটুতে এক্সরে করেন। চিকিৎসক সেই এক্সরে রিপোর্ট দেখে ছেলেটির পুরো পা ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দেন। এর কয়েকদিনের মধ্যে জিহাদুলের পায়ে পচন ধরে, এ কারণে তার পুরো পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
ওই স্কুল ছাত্রের পিতা আমিনুল ইসলাম মিলন জানান, ছেলেটি ২০ দিন পূর্বে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ডান পায়ে একটু ব্যাথা পেলে  নেছারাবাদ  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার পায়ের গোড়ালির এক্সরে করতে লিখে দিলেও টেকনিশিয়ান পায়ের হাটু এক্সরে  করেন। ডাক্তার সেই রিপোর্ট অনুযায়ী হাটু ব্যান্ডেজ করেন। কয়েকদিন পরে পায়ে ব্যাথা শুরু ও অবস্থা খারাপ হলে আমি ছেলেকে নিয়ে ঢাকার পিজি হাসপাতালে  যাই। সেখানকার ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল, ভুল চিকিৎসায় পায়ের ভিতরে পচন ধরেছে । পরে ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছেলের পা কেটে ফেলেছে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, ওই ছেলের কথামতো আমরা এক্সরে  করে দিয়েছি, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এক্সরে করলে কোন সমস্যা হতো না। আমাদের ভুল হয়েছে।
নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টার এক্সরে করেনি, তাদের ইচ্ছে মতো এক্সরে করার কারণে এত বড় সমস্যা হয়েছে। আমি ভুক্তভোগীদের মৌখিক অভিযোগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি । এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট