দেশজুড়ে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে গরমের দাপটে ক্লান্ত মানুষদের মাঝে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেখানে ৩৫ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে, সেখানে ভিজে সড়ক আর আকাশভরা মেঘ জানান দিচ্ছে বর্ষার দাপট। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে—১৪০ মিলিমিটার। এই বৃষ্টির ধারা চলমান থাকবে আরও পাঁচ দিন, আর এর সঙ্গে বাড়বে বজ্রবৃষ্টি ও অতি ভারি বর্ষণের শঙ্কা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমি বায়ুর অক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এর একটি শাখা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরেও। ফলে বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এই অবস্থায় আগামী রবিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের অনেক স্থানে হতে পারে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারি বর্ষণ। তবে তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
সোমবার (৪ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) একই প্রবণতা বজায় থাকবে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং বরিশাল-চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় অতি ভারি বর্ষণের আশঙ্কা থেকেই যাবে। দিনের বেলায় কিছুটা তাপমাত্রা কমলেও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৬ ও ৭ আগস্ট) দেশের আটটি বিভাগের প্রায় সর্বত্র দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও এই বর্ষণ রূপ নিতে পারে অতি ভারি বৃষ্টিতে। তবে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটের পাশাপাশি রাঙামাটিতে ৯৩ মিলিমিটার, সৈয়দপুরে ৭০, নেত্রকোণায় ৬৭, তেঁতুলিয়ায় ৫৩, ফেনীতে ৫১, বান্দরবানে ৫০ এবং টেকনাফে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরবর্তী পাঁচ দিনে দেশের কিছু এলাকায় বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমলেও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
অতএব, আগামী কয়েকদিন ছাতা হাতে চলাফেরা করাই হতে পারে সবচেয়ে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত।