
“এখনই কাজ করুন, আমাদের বর্তমানকে রক্ষা করুন, আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন”—২০২৫ সালের বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) সচেতনতা সপ্তাহের এই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে পিরোজপুর জেলা ঔষধ প্রশাসনের উদ্যোগে অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার বিষয়ে এক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এ সভায় জেলার সকল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সদস্যদের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর জেলা ঔষধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক রাহুল কৃষ্ণ রায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মো. হারুন আর রশিদ। এছাড়া সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, ইন্দুরকানি উপজেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক **কামরুল আহসান (সোহাগ)**সহ জেলার সকল কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অযথা ও অতিরিক্ত ব্যবহার বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ (AMR) বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ সংক্রমণও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে যেসব রোগ সহজে নিরাময়যোগ্য ছিল, যেমন টাইফয়েড বা টিবি—এখন আরও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া চিকিৎসা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শুধু স্বাস্থ্য নয়, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশও হুমকির মুখে পড়ছে।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন,
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বা সেবন করা যাবে না।
নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
সংক্রমণ রোধে ব্যক্তিগত পরিছন্নতা ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি।
সরকার ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক নীতিমালা কার্যকর করতে আরও উদ্যোগী হতে হবে বলে মত দেন বক্তারা।
সভায় আরও বলা হয়, সচেতনতার এই উদ্যোগ শুধু এক সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় আন্দোলনে পরিণত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পৃথিবী উপহার দেওয়া যায়।