
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘ইউরোফাইটার টাইফুন’ যুক্ত করার পথে অগ্রসর হচ্ছে। বিমান কেনার উদ্দেশ্যে ইতালির প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো এসপিএ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ একটি লেটার অফ ইনটেন্ট (LOI) বা প্রাথমিক সম্মতিপত্রে সই করেছে। এতে করে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করার পথে বাংলাদেশ এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করল।
এই LOI সই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার বিমান বাহিনী সদর দপ্তরে। বিষয়টি বিমান বাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এছাড়া দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত থেকে চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইউরোফাইটার টাইফুন ভবিষ্যতে দেশে এসে ফ্রন্টলাইন ফ্লিটে যুক্ত হবে। এই বিমানগুলো মাল্টিরোল ক্ষমতার— অর্থাৎ আকাশ প্রতিরক্ষা, আক্রমণ, টহল এবং নজরদারিসহ বহু ধরনের মিশনে সমানভাবে কার্যকর।
এটি যুক্ত হলে বিমান বাহিনীর আধুনিকীকরণ কার্যক্রমে বড় ধরনের অগ্রগতি আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করতে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। টাইফুন কেনার উদ্যোগ সেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অন্যতম অংশ।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে সরকার একটি ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান। তখন চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার কথাও আলোচনায় আসে। প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার বাজেটের সে প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণে ছিল।
ওয়ারপাওয়ারবাংলাদেশ ডট কম–এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাতে রয়েছে ২১২টি আকাশযান, যার মধ্যে ৪৪টি যুদ্ধবিমান।
টাইফুন বহরে যুক্ত হলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্ষমতা আরও বিস্তৃত হবে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।