দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হলো প্রথম ইলিশ চালান। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ১০টি ট্রাকে করে ৫০ টন ইলিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছায়। রপ্তানির ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, উৎসবের মরশুমে বাঙালিদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যান্ড স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে চালানটি গ্রহণ করেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) সাবরিন চৌধুরী।
ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, “বুধবার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ৫০ টন ইলিশ এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালেই এগুলো কলকাতা ও হাওড়ার বাজারে পৌঁছে যাবে।”
তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “৫ অক্টোবরের মধ্যে পুরো ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ আমদানি করা সম্ভব হবে না। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার এত অল্প সময় নির্ধারণ করছে যে অনুমোদিত পরিমাণের ইলিশ আমদানি শেষ করা যায়নি। এ বছরও পশ্চিমবঙ্গবাসীকে ইলিশের জন্য হাহুতাশ করতে হবে।”
বাংলাদেশ সরকার প্রতি কেজি ইলিশ ১২.৫ ডলার মূল্যে রপ্তানি করছে। তবে খুচরা বাজারে এর দাম পড়বে প্রতি কেজি ২,০০০ রুপির ওপরে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ইলিশ এখনও বিলাসিতা হয়েই থাকবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।