ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল সংঘটিত এক ভয়াবহ সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এই ঘটনার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিশোধস্বরূপ চালায় ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের একটি বিমান হামলা। এতে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী মধ্যরাতে পাকিস্তানের অন্তত নয়টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, মুজাফফরাবাদ, কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোট ও শাকরগড় এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানের আইএসপিআর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীর মতে, ভারতের হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। মুজাফফরাবাদের মসজিদে বিলালে নিহত: ৩ জন, কোটলির মসজিদ আব্বাসে নিহত: ২ জন, আহত: ২ জন, মুরিদকের মসজিদে উম্মুল কুরায় নিহত: ৩ জন, শাকরগড়ে একটি ডিসপেনসারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শিয়ালকোটে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে ১০ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান (তিনটি রাফায়েল জেটসহ), একটি হেলিকপ্টার এবং চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। তবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এসব দাবি অস্বীকার করেছে।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কয়েকটি সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই সংঘর্ষের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন রাষ্ট্র ইতিমধ্যে দুই পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা দ্রুতই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। অবিলম্বে শান্তি সংলাপ ছাড়া এই সঙ্কটের উত্তরণ অসম্ভব।