ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আবারও ৫৬ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে। সোমবার (২ জুন) গভীর রাত এবং মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে ময়মনসিংহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুদের ঠেলে পাঠানো হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার শিংরোড ও হাড়িভাসা সীমান্ত দিয়ে ২৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ১০ জন শিশু, ৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী রয়েছেন। তারা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং দিল্লির আশেপাশে বসবাস করছিলেন।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ মে ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আনে এবং সেখান থেকে বাসে করে সীমান্ত এলাকায় এনে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।
৩১ বিজিবির আওতাধীন নেত্রকোনার ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে ফেরত আসে খুলনা বিভাগের ১২ জন বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন শিশু, তিনজন নারী ও আটজন পুরুষ রয়েছেন। তারা গুজরাটে অবৈধভাবে কাজ করছিলেন। বিএসএফ তাদের রাত ৩টার দিকে ঠেলে পাঠায় বলে জানায় বিজিবি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে ফেরত আসে আরও ৮ জন। বিজিবি ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, মঙ্গলবার ভোরে চারজন নারী ও চারজন পুরুষকে বিএসএফ পুশইন করে। তারা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তিনটি সীমান্ত থেকেই পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় বিজিবি। তারা দাবি করে, এসব বাংলাদেশি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে অবস্থান করে বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।