ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এক তরুণীসহ মোট ৯ জন বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে পুশইন করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলার দুটি পৃথক সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পপি রায় নামের এক তরুণীকে হস্তান্তর করা হয়। জানা গেছে, পপি রায় শিলিগুড়িতে তার ভারতীয় স্বামীর সঙ্গে এক বছর ধরে বসবাস করছিলেন এবং স্থানীয় একটি মন্দিরে কাজ করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তাকে আটক করে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় ভারতীয় পুলিশ।
তবে একই রাতে ওই সীমান্ত এলাকা দিয়েই বিএসএফ আরও চার সদস্যের একটি বাংলাদেশি পরিবারকে কোনো রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই পুশইন করে। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া, একই সময় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাংগিপুকুর সীমান্ত দিয়ে আরও পাঁচ নারীকে পুশইন করা হয়, যাদের বিজিবি আটক করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম ও সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে বিজিবি ও পুলিশ এসব নারী-শিশুদের পরিচয় যাচাই করছে এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এই ধরণের বারবার পুশইনের ঘটনা সীমান্ত নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার প্রশ্নে উদ্বেগ তৈরি করছে। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।