রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে একটি ‘গোপন বৈঠক’ আয়োজনের অভিযোগে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা সাদিকুল হককে এ ঘটনায় সেনা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সেনাসদরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিকুল হক (সাদিক) বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত গোপন বৈঠকে সরকার উৎখাত ও শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা হয়। বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন (শম্পা)। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিকুল হককে হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নাশকতামূলক প্রশিক্ষণও দিয়েছেন।
এদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, বৈঠক চলাকালীন কনভেনশন সেন্টারের সব সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহ আরও জোরদার হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তারকৃতদের প্রযুক্তিগত তথ্য যাচাই ও রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ষড়যন্ত্রে জড়িত সকল ব্যক্তিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি কর্মকর্তারা।