1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আগামীর বাংলাদেশ জুলাই সনদের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে: আদিলুর রহমান খান পিরোজপুরে গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন: বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ খুলনার দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত, সাংবাদিকদের ক্ষোভ নেছারাবাদে বাল্যবিয়ে টের পেয়ে দাওয়াত না খেয়েই ফিরে গেলেন ইউএনও গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী নেতৃত্ব নিতে চায় সৌদি আরব নেছারাবাদের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা গ্রেফতার কাভা কাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় বাংলাদেশের পিরোজপুরে বিএনপি নেতার দুই শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ বিদেশে দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে পারবে দুদক সাবেক এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পিরোজপুরে বিক্ষোভ

নেছারাবাদে বাল্যবিয়ে টের পেয়ে দাওয়াত না খেয়েই ফিরে গেলেন ইউএনও

মোঃ নাজমুল হোসেন পিরোজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ১৬ বছরের মেয়ের বিয়ে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে থেমে যায়। কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে জানার পর ইউএনও ও কাজী দুজনেই বিয়ে সম্পন্ন না করেই ফিরে যান।

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সচেতনতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। স্বপরিবারে বিয়ের দাওয়াতে উপস্থিত হয়েও কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে জানতে পেরে তিনি দাওয়াত না খেয়েই ফিরে যান। ইউএনওর এই পদক্ষেপে বাল্যবিয়েটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর বয়সী মুন্নি আক্তার নামের এক মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় জগন্নাথ কাঠি গ্রামের ২৩ বছর বয়সী যুবক শেখ মো. অনিকের সঙ্গে। মুন্নি গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল। এ বছর পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিয়ের আয়োজন করা হয়।

বিয়ে পড়াতে যাওয়া কাজী মো. ইসহাক আলী বলেন, “প্রথমে আমাকে জানানো হয় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু পরে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ বছর জানার পর আমি বিয়ে পড়াইনি। ইউএনও সাহেবও বিষয়টি জানার পর স্বপরিবারে দাওয়াত না খেয়েই চলে যান।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন জানান, “বিয়ে বাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ইউএনও সাহেব অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কনের বয়স কম শুনেই তিনি চলে যান। পরে কাজী এবং আমি নিজেও খাওয়া দাওয়া না করেই ফিরে এসেছি।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে জানতে পেরে আইনগত ও নৈতিক দিক বিবেচনায় দাওয়াত না খেয়েই ফিরে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি, বিয়েটি আর সম্পন্ন হয়নি।”

স্থানীয়দের মতে, ইউএনওর এই পদক্ষেপ সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। প্রশাসনের এ ধরনের সচেতন উদ্যোগ বাল্যবিয়ে রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন অনেকে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট