বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন ইসি’র সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
ইসি সচিব বলেন, “আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গসংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আপনারা গেজেটের কপিটি বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।”
কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ বা অপরাধের ভিত্তিতে নয়, বরং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন এসেছে, তারই ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”
নিবন্ধন স্থগিতের এই ঘোষণা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হওয়াকে অনেকে ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে দেখছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, যার প্রভাব আগামী নির্বাচন ও রাজনৈতিক সমীকরণে গভীরভাবে পড়বে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এখন অপেক্ষা করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ও ইসির গেজেটের বিস্তারিত কপি হাতে পাওয়ার। এতে দলটির ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের সীমাবদ্ধতা এবং আইনি প্রক্রিয়া আরও স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।