
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধের সক্ষমতা অর্জনের পরিকল্পনা করছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) একটি যুদ্ধবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “ইউরোপ ইতোমধ্যেই সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”
অরবান চার ধাপের একটি প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরেছেন, যা সাধারণত যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এই ধাপগুলো হলো: কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বন্ধ করা এবং অবশেষে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়া। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই পদক্ষেপগুলোর বেশিরভাগ ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক অবস্থান রয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” অরবান যোগ করেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো যুদ্ধ অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, কিন্তু হাঙ্গেরির লক্ষ্য হলো ইউরোপকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখা।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে ইইউ’র অবস্থানের তীব্র সমালোচনাও করেছেন অরবান। হাঙ্গেরি ধারাবাহিকভাবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি কিয়েভকে সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করেছে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিবর্তে শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।
ইইউ ক্রমবর্ধমানভাবে রাশিয়ান হুমকির কথা উল্লেখ করে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করছে। যদিও রাশিয়া বারবার বলেছে, তারা ইইউ বা ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধের কোনো পরিকল্পনা করছে না। তবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে, তারা জবাব দেবে মস্কো।