চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)-এর ‘আদম ক্যাপ্স’ নামের টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নয়তলা ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হলেও এখনো এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনের তীব্রতায় ভবনের উপরের তলা ও কয়েকটি দেয়াল ধসে পড়েছে এবং নিচের তলাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ছে।
ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রায় ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন লাগার পর শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান জানিয়েছেন, ভবনে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন, তবে কোনো হতাহত হয়নি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের তীব্রতা এত বেশি যে কারখানার থেকে ৩০০ গজ দূরেও তাপ অনুভূত হচ্ছে। মাঝে মাঝে ভবনের ভেতর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং আগুনের শিখা ভবনের ছাদ পেরিয়ে ১০০ ফুট পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আশপাশের এলাকা।
‘আল হামেদি টেক্সটাইল’ কারখানার কর্মচারীরা বলেন, আদম ক্যাপ্সে মূলত তোয়ালে ও হাসপাতালের ব্যবহারের জন্য পিপি জাতীয় পণ্য উৎপাদন হয়। সেখানে ব্যবহৃত টিস্যু জাতীয় কাঁচামালের রোলের কারণে আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “ভবনের ভেতরে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আধুনিক সরঞ্জাম থাকলেও পানির চাপ কম থাকায় কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন।”
এছাড়া সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তবে আগুনের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।
চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় এই ভয়াবহ আগুন শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা ও উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।