দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের সামরিক হামলার মাত্রা আরও তীব্র করেছে। এতে গত ৪৮ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ ফিলিস্তিনি। এই বর্বর আগ্রাসনে মানবিক সংকট আরও গভীরতর হচ্ছে।
শনিবার (১৭ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত ২৪ ঘণ্টাতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫৩ জন। আহত হয়েছেন আরও ৪৫৯ জন। পূর্ববর্তী হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৭ জনের মরদেহ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩,২৭২ জনে এবং আহত হয়েছেন ১,২০,৬৭৩ জন। এটি ইসরাইলি বাহিনীর দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়েই ভয়াবহতার প্রমাণ।
চলমান এই আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার ইসরাইলের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, তা আমলে নিচ্ছে না নেতানিয়াহুর সরকার। বরং তারা বলছে, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে।
এদিকে, গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন প্রায় ৮,৪৭৩ জন।
গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ, স্থল অভিযানের পাশাপাশি সমুদ্র ও আকাশপথে হামলার তীব্রতা বাড়ছে। ইসরাইল বলছে, তারা হামাসের হাতে থাকা অন্তত ৩৫ জন জীবিত জিম্মিকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
এমন অবস্থায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জোর আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও হয়েছে।
কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, “হামাসকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। আমাদের এই পবিত্র মিশনে কোনো বিরতি নেই।”