ভিয়েতনামের হা লং উপসাগরে ৫০ জনেরও বেশি পর্যটক বহনকারী একটি পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের উদ্ধারে কাজ করছে ভিয়েতনামি উদ্ধার দল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ড্যান ট্রাই নিউজ জানায়, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এই স্থানে নৌকাভ্রমণের সময় হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তখন নৌকাটিতে ছিলেন ৪৮ জন পর্যটক ও ৫ জন ক্রু সদস্য। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়।
ভিয়েতনামী অনলাইন পোর্টাল ভিএনএক্সপ্রেস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও নৌবাহিনী। যাত্রীদের অধিকাংশই রাজধানী হ্যানয় থেকে আগত পরিবার। এদের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি শিশু ছিল।
হা লং উপসাগর বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর লাখো পর্যটক এখানে নীল-সবুজ জলরাশি ও চুনাপাথরের দ্বীপ দেখতে আসেন। তবে এই দুর্ঘটনা নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্ন তুলেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরও হা লং উপসাগরের উপকূলীয় কোয়াং নিন প্রদেশের বোট লক এলাকায় একটি টাইফুনের প্রভাবে অন্তত ৩০টি নৌকা ডুবে গিয়েছিল।
এই ঘটনার পরপরই ভিয়েতনাম সরকার এবং পর্যটন কর্তৃপক্ষ নৌযাত্রায় অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ এবং আবহাওয়া সতর্কবার্তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।