
অসদাচরণের অভিযোগের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মুখোমুখি হওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেন। এর আগে গত ১ জুলাই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তাকে সশরীরে হাজির হয়ে অসদাচরণের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলে। সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার পর তিনি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা পরে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপতি গত ২৩ মার্চ বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। তদন্ত প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হয় বিচারপতি আখতারুজ্জামানকে।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। তাদের বেঞ্চ না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছুটিতে পাঠানো বিচারপতিদের তালিকায় ছিলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন তিনি।