বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ উদ্বেগ জানান।
তিনি বলেন, “কোনও উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।”
মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে, তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন।”
তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন এবং দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বছর আগস্টে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
২০২৫ সালের ১২ মে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সরকার এ সিদ্ধান্ত জানায়। এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে ছাত্রলীগকেও নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
ভারতের মুখপাত্র বলেন, “আমরা জোরালোভাবে সমর্থন করছি যে, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সব রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম চালানোর স্বাধীনতা থাকা উচিত এবং নির্বাচন ছাড়া রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
ভারতের স্পষ্ট বার্তা হলো—বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। ভারতের এই প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।