পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ২ নম্বর বালিপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর পশ্চিম বালিপাড়া ওয়ার্ডে মুদি দোকান ও ঘর চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এক চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে পশ্চিম বালিপাড়া সংযোগ সড়কের মোশাররফ হাওলাদারের বাড়ির সামনে ব্রিজের পাশে বসে থাকা অবস্থায় আব্দুল হাই (৪৫) নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর উপর হাতুড়ি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়।
আহত আব্দুল হাই ওই এলাকার মাওলানা আশ্রাফ আলী খাঁনের পুত্র এবং পেশায় একজন মুদি দোকানদার। তিনি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত করা হয় এবং একটি পা ভেঙে যায়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় দুই দিন আগের একটি চুরির ঘটনা থেকে। শুক্রবার রাতে একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ঘর থেকে অটো রিকশার ব্যাটারি চুরি হয় এবং একই রাতে আব্দুল হাইয়ের মুদি দোকান থেকেও পণ্যদ্রব্য চুরি হয়। এলাকাবাসী এ ঘটনার জন্য কুখ্যাত মাদকাসক্ত ও চোর হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বাসিন্দা জসিম (নুরুজ্জামান খানের পুত্র) এবং রাকিব (জলিল শেখের পুত্র)-কে সন্দেহ করে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এই জিজ্ঞাসাবাদেই ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার ফজরের নামাজ শেষে ওৎ পেতে থাকা অভিযুক্ত জসিম ও রাকিব মিলে হামলা চালায়। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তারা আব্দুল হাইকে গুরুতর জখম করে। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতের ভাই মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমার ভাই চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল, আর এই কারণেই তারা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় ও মাথায় আঘাত করে। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন জানান, “চুরির সন্দেহে একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা দাবি করছেন, অপরাধীরা দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে। এদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।