মুসলিম বিশ্বের উন্নয়ন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসার সঙ্গে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এনজিও নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দেই। কারণ দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে সহায়তার এক কার্যকর মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি, যা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।”
তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বিশ্বের তরুণ সমাজকে সামাজিক ব্যবসার ধারণার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।”
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ইসলামিক এনজিও নেতারা জানান, ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার ধারণা তাদের নিজ নিজ দেশে অনুপ্রাণিত করেছে এবং ইতোমধ্যে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের ‘ইউনিয়ন অব এনজিওস অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড’ (ইউএনআইডব্লিউ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল আইয়ুপ আকবাল, মালয়েশিয়ার ওয়াদাহ সংগঠনের প্রতিনিধি ফাওয়াজ বিন হাসবুল্লাহ, পাকিস্তানের আলখিদমত ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আবদুস শাকুর এবং ইন্দোনেশিয়ার ড. সালামুন বশরি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিআইআইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মাহবুব আহমেদ, সাওয়াবের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুজ্জামান, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলী আফজাল এবং বিআইআইটির মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ।
ড. ইউনূস বলেন, মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে নিতে হলে সমাজের দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো মূল সমস্যাগুলোর সমাধানে ইসলামিক এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আর সামাজিক ব্যবসা হতে পারে এই পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি।