চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। বৈধপথে কর্মী নিয়োগ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে এই সফরে। উভয় দেশ ইতোমধ্যে এই সফর চূড়ান্ত করতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় রয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, “ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সম্ভাব্য এই সফরকে বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
গত ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং চলমান সংস্কার কার্যক্রমে ইতালির সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
চলতি মাসের শুরুতে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ঢাকায় এক সফরে এসে এই সম্ভাব্য সফরের ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, “দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব নবায়নের অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বরের আগেই প্রধানমন্ত্রী মেলোনি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিয়ান্তেদোসি তার সফরকালে অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব পুনরায় চালু করার রোমের আগ্রহের কথা জানান। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে ইতালি আগ্রহী। একইসঙ্গে, অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে ইতালি প্রস্তুত।
এই সম্ভাব্য সফর বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।