আগামী ডিসেম্বর মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার এডুকেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রবাসীদের ভোটগ্রহণে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে, তবে এতে প্রচুর ব্যয় হবে—প্রতি লাখ ভোটারের জন্য আনুমানিক ছয় থেকে সাত কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধুমাত্র প্রতীক থাকবে। এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের সহায়তায় ভোটারদের কাছে ব্যালট পাঠানো হবে। প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য তিন সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করা হবে। তবে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে সেই আসনের পোস্টাল ব্যালট প্রক্রিয়া বাতিল করে দেবে কমিশন।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া দেশে আইনগত হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা এবং ভোটের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
এরই মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য এখনই কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
এর আগে (৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা হয়।
দেশবাসী এখন অপেক্ষায় একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন দেখার, যেখানে প্রবাসী ভোটাররাও অবদান রাখতে পারবেন।