বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, একসময়ের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত পাটের চাহিদা বর্তমানে আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) অডিটরিয়ামে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার–২০২৫’ সেমিনারে “টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন সুযোগ রয়েছে, তেমনি বাধাও আছে। পাটের চাহিদা হ্রাসের জন্য আমরাই দায়ী। যতদিন না বাস্তবতার আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারবো, ততদিন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো ও পিছিয়ে থাকবো।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবি’র সহসভাপতি ইঞ্জি. খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটি’র আহ্বায়ক ইঞ্জি. আহসানুল করিম কায়সার এবং আইইবি’র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মহিউদ্দীন আহমেদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। তিনি বলেন, “বর্তমানে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার। আমরা চাইলে এর বিকল্প হিসেবে পাট ব্যবহার করতে পারি। পাট অন্যান্য ফাইবারের তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।”
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. জুলহাস উদ্দিন বলেন, “পাট যেহেতু প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব ফাইবার, তাই এটি নিয়ে আরও গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রয়োজন রয়েছে। শুধু চটের ব্যাগ নয়, পাটের ব্যবহার অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রেও বাড়াতে হবে। বুটেক্সে শিগগিরই জুট ফাইবার নিয়ে একটি নতুন বিভাগ ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
সেমিনারে বক্তারা পাট শিল্পের বর্তমান সংকট, সম্ভাবনা এবং টেকসই উন্নয়নে এর অবদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা বলেন, পাটের পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই শিল্পখাত গড়ে তোলা সম্ভব, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।