দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় উঠেছে এক মর্মান্তিক পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি—স্ত্রী ও শাশুড়ির হাতে প্রাণ হারিয়েছেন হাসুয়া গ্রামের যুবক সুব্রত রায় (৩২)।
শনিবার সকালে উপজেলার ১নং ডাবর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুব্রতের পিতা কৃষ্ণ রায়, বাড়ি ২নং রসুলপুর ইউনিয়নের হাসুয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত বছর আগে সুব্রত রায়ের বিয়ে হয় বিউটি রানীর সঙ্গে। দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের পর সম্প্রতি এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে সেপারেশন সম্পন্ন হয়। তবে বিচ্ছেদের পরও সুব্রত প্রায়ই যেতেন স্ত্রীর বাড়িতে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শনিবার সকালে স্ত্রী বিউটি রানী ও তার মা পরিকল্পিতভাবে সুব্রতকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান। এরপর শংকরপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে গলায় চাকু চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় সুব্রত নিজেকে বাঁচাতে পালিয়ে জনসম্মুখে এলে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কাহারোল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দ্রুত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেখানে নেওয়ার পথে রাস্তার মধ্যেই সুব্রত রায়ের মৃত্যু হয়।
নিহতের মা ও বোনের দাবি, “আমার ছেলে কোনো নেশা বা খারাপ কাজে জড়িত ছিল না। শান্ত-ভদ্র ছেলেকে আজ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
এলাকাবাসীরও একই অভিযোগ—সুব্রত অতীতে কখনো অপরাধ বা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন না।
ঘটনার খবর পেয়ে কাহারোল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় শোক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।