বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে শুধু চিকিৎসা নয়—সঠিক জীবনযাত্রা ও সুষম খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কিছু খাবারের ওপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন, কিছু সাধারণ খাবার শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ক্রুসিফেরাস গোত্রের এই সবজিতে থাকে সালফোরাফেন ও গ্লুকোসিনোলেট, যা ডিএনএর ক্ষতি রোধ করে এবং টিউমার বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি র্যাডিকেল রোধ করে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি হ্রাসে সাহায্য করে।
ব্লুবেরিতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন ও অন্যান্য ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রদাহ কমায় এবং কোষের ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
টমেটোতে থাকা লাইকোপেন রান্না করলে আরও সক্রিয় হয়, যা প্রোস্টেট, ফুসফুস ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রসুনে আছে সালফার যৌগ ও অ্যালিসিন, যা ডিএনএ রক্ষা ও ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তিসির বীজে লিগনান, ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা অন্ত্র পরিষ্কার করে ও কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
গ্রিন টিতে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মুখ, ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
এই খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরের স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যদিও এগুলো এককভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে না, তবে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা রাখে।