
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পোস্ট অফিস দীর্ঘ সাত বছর ধরে ভাড়া বাসায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০১৮ সালের ১ জুন নিজস্ব ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে অকেজো হয়ে পড়ায় ডাক বিভাগের এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরটি বাধ্য হয়ে অন্যত্র ভাড়া করা ভবনে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে মাত্র দুটি ছোট কক্ষে অফিসের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র, সরকারি নথি, ফাইল যেখানে-সেখানে স্তূপ হয়ে পড়ে রয়েছে। অবহেলা ও অযত্নে এসব কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
পোস্ট অফিসের ১০টি পদের মধ্যে ৬টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য, যা দাপ্তরিক কার্যক্রমকে আরও বেশি ব্যাহত করছে। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পোস্টমাস্টার উত্তম কুমার শিকদার অন্যত্র বদলি হওয়ার পর অপারেটর পারভেজ হাওলাদার ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে পোস্টমাস্টার, অপারেটর ১ জন, রানার ১ জন, প্যাকার ১ জন ও পোস্টম্যান ২ জনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্যই রয়ে গেছে।
এ ছাড়া কাউখালী উপজেলাজুড়ে ১৮টি শাখা ডাকঘর রয়েছে। কিন্তু জনবল সংকট ও নিজস্ব ভবন না থাকায় শাখা অফিসগুলো চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারছে না। ফলে সাধারণ মানুষ সময়মতো চিঠিপত্র, ডকুমেন্টস ও অন্যান্য ডাকসেবা পাচ্ছেন না। গুরুত্বপুর্ণ চিঠিপত্র গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়ছে।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার পারভেজ হাওলাদার বলেন,
“জনবল সংকট ও নিজস্ব ভবন না থাকার কারণে নিয়মিত দাপ্তরিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। বিষয়টি বহুবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
পিরোজপুর জেলা পোস্টমাস্টার মো. আব্দুল হালিম বলেন,
“ভবন সমস্যাটি আমাদের জানা আছে। নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে সংকট অনেকটা কমে আসবে।”
কাউখালী পোস্ট অফিসের এই দীর্ঘমেয়াদি ভবন সংকট ও জনবল ঘাটতি স্থানীয় জনগণের সেবাপ্রাপ্তিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগই এ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।