উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন ঘোষণা দিয়েছেন যে আসন্ন দলীয় কংগ্রেসে পিয়ংইয়ং একই সঙ্গে পারমাণবিক শক্তি এবং প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহারের নীতি প্রকাশ করবে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কিম জং-উন প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান একাডেমির অধীনে সাঁজোয়া প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র ইনস্টিটিউট এবং ইলেকট্রনিক অস্ত্র ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি নতুন সাঁজোয়া যান এবং ইলেকট্রনিক অস্ত্রের উন্নয়ন পর্যালোচনা করেন এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়তে প্রচলিত সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কিম বলেন, “কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির নবম কংগ্রেস জাতীয় প্রতিরক্ষা গড়ার ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তি এবং প্রচলিত সশস্ত্র বাহিনী গঠনকে একই সঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার নীতি গ্রহণ করবে।”
উত্তর কোরিয়ার শেষ পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, যা সাধারণত প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। কিমের সরকার এর আগে সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ, কঠিন জ্বালানি-চালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল। তাঁর সর্বশেষ মন্তব্য ইঙ্গিত দেয়, পারমাণবিক কর্মসূচির পাশাপাশি প্রচলিত অস্ত্রের উন্নয়নও সমান গুরুত্ব পাবে।
এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় প্রচলিত অস্ত্রে পিছিয়ে থাকায় পিয়ংইয়ং নতুন করে আধুনিক সামরিক শক্তি গড়ে তুলতে চাইছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১৫ হাজার সৈন্য প্রেরণের পর কিম জং-উন সেনাবাহিনীর প্রচলিত যুদ্ধ সক্ষমতা, মাঠ প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক মহল বলছে, কিমের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।