ঈদুল আজহায় কোরবানির সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৬৪১ জন। তাদের মধ্যে ১৮১ জনের জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং ২০৭ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৮ জুন) নিটোর কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায়। জানা যায়, কোরবানির পশু কেনা, জবাই, কাটাকুটি ও মাংস প্রস্তুতের সময় অসাবধানতা বা অনভিজ্ঞতার কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন মিলিয়ে পশুর লাথি-গুঁতা, চাকুর আঘাত, হাত-পা কাটা, রগ ছেঁড়া সহ নানা কারণে মানুষ নিটোরে ছুটে আসেন।
ঈদের প্রথম দিনে নিটোরে চিকিৎসা নিতে আসেন ৩২৫ জন। এর মধ্যে ১০২ জনের জরুরি অপারেশন করতে হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঈদের আগের দিন পশু কিনতে গিয়ে লাথিতে আহত হন ৩১৬ জন। তাদের মধ্যে ৭৯ জনের অপারেশন ও ৮৫ জনকে ভর্তি করতে হয়।
রোববার (৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই একের পর এক আহত রোগী হাসপাতালে আসছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিটোরে ৭০-৮০ জন নতুন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিটোরের জরুরি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. রিপন ঘোষ জানান, “ঈদের দিন যারা এসেছেন, তাদের অধিকাংশ কোরবানি করতে গিয়ে হাত-পা কেটে ফেলেছেন। অনেকে রগ ছিঁড়ে ফেলেছেন। আগের দিন যারা এসেছেন, তারা পশু কিনতে গিয়ে লাথি খেয়ে আহত হয়েছেন। গুরুতর নয় এমনদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
প্রতিবছর কোরবানির সময় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকরা বলছেন, পশু জবাই ও মাংস কাটার সময় সচেতনতা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব।