
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম ওসমান মল্লিক (৬)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঘটনাটি নিশ্চিত করেন ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় শিশুটিকে ওই মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ওসমান দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি যাওয়ায় শিক্ষকরা ‘শাস্তি’ হিসেবে তার পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে রাখেন। ওই অবস্থায়ই চলছিল তার পাঠদান। এতে শিশুটির পায়ে মারাত্মক ব্যথা ও জখমের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে অমানবিক আচরণের সত্যতা পান। পরে বিষয়টি ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান। প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী ওসমান মল্লিক ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছে।
ঘটনাটি এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা নির্দোষ শিশুর ওপর এমন নিষ্ঠুর আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার বলেন, “অমানবিক এই ঘটনাটি আমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি শিশুটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কেন এমন আচরণ করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”