আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লাখ নতুন বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশি কর্মীরা। এমনটাই জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ও অন্যান্য দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ভিডিও বার্তায় আসিফ নজরুল বলেন, “মালয়েশিয়া আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
তিনি জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, যেসব বাংলাদেশি কর্মী শেষ মুহূর্তে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেনি, তাদের সুযোগ দেওয়া হবে। এমন প্রায় ১৭ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রথম ধাপে ৭,৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তারা খুব দ্রুত মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী, নার্স ও কেয়ারগিভারসহ দক্ষ কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। তারা এতে আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী-ও এ আলোচনায় অংশ নেন।
বর্তমানে বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পান। এই সীমাবদ্ধতা দূর করে মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মালয়েশিয়ায় থাকা অনিয়মিত কর্মীদের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আসিফ নজরুল বলেন, “অনেক সময় মালিকের গাফিলতিতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে যেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়—এই অনুরোধ জানিয়েছি।” মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।