
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন (৩৫) ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত নায়েক আক্তার হোসেন কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ভোলা জেলায়।
খায়রুল আলম বলেন, গত ১৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আক্তার হোসেন। তার বাম পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অপর পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাকে রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচ থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দীর্ঘ ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, নিহত আক্তার হোসেনের মরদেহ বর্তমানে ঢাকার সিএমএইচের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে করে তার লাশ ভোলার নিজ গ্রামে পাঠানো হবে এবং পরবর্তীতে সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বিজিবির একটি দল মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’-র পেতে রাখা মাইনে পা দিলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হন এবং সহকর্মীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় পুনরায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।