ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও পাকিস্তানকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) গুজরাটের ভূজে এক রোডশো ও উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের সময় তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ত্যাগ করে শান্তির পথে চলার আহ্বান জানান। তিনি স্পষ্ট বলেন, “শান্তি চাইলে সন্ত্রাস ছেড়ে দিতে হবে, না হলে ভারতের প্রতিশোধ হবে আরও কঠোর।”
মোদী তার বক্তব্যে বলেন, “পাকিস্তান যদি শান্তিতে রুটি খেতে চায়, তবে তাদের সন্ত্রাসবাদ পরিত্যাগ করতে হবে। অন্যথায়, ভারতের তরফ থেকে এমন জবাব আসবে যা তারা কখনও ভুলবে না।”
তিনি দাবি করেন, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলো আজ ‘আইসিইউ’-তে, এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দৃঢ় অবস্থানে পাকিস্তান সাদা পতাকা তুলতে বাধ্য হয়েছিল।
গুজরাটের দাহোদে মোদী বলেন, “অপারেশন সিন্দুর ছিল শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের সংস্কৃতি ও আবেগের প্রতিফলন।”
তিনি আরও জানান, ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভূজের সাহসী মহিলারা রানওয়ে মেরামতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সাহসী নারীদের একজন তাকে সিঁদুর গাছ উপহার দেন এবং আশীর্বাদ করেন।
পাকিস্তানের জনগণের উদ্দেশ্যে মোদী প্রশ্ন করেন, “তোমরা কী অর্জন করেছো? ভারত আজ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। অথচ যারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিয়েছে, তারা তোমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান সতর্কতা উপেক্ষা করেছিল, এখন সেই ভুলের মূল্য দিতে হচ্ছে।”
রোডশো চলাকালীন ভূজের সাধারণ মানুষ মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। মোদীর প্রতি মানুষের এই ভালোবাসা তার নীতিতে আস্থা এবং জাতীয়তাবাদী মনোভাবের প্রতিফলন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।