মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফেরা ১০ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মাঝপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১০৫ নম্বর ক্যাম্পের কমান্ডার মনমোহনের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল তাদের আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে।
আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা কাজের খোঁজে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ শ্রমিক ও ক্লিনার হিসেবে কাজ করেছেন। পাসপোর্ট বা বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। সাজাভোগ শেষে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর কারাগার থেকে হৃদয়পুর সীমান্ত হয়ে ভবেরপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন, সাইফুল হাসান (যশোর, পুলেরহাট), প্রজেনজিৎ দাশ (সাতক্ষীরা, বাটড়া), বিল্লাল শেখ (মাদারীপুর, হাসেনকান্দা), তরিকুল ইসলাম (যশোর, কন্যাদা), সেজুতি রায় (খুলনা, মোনাবান্দা), অর্চনা রানি সরকার (নড়াইল, পাংকোবিলা), দেবদাস বিশ্বাস, রুপা বিশ্বাস ও জয়দেব বিশ্বাস (যশোর, বেদ্দনা)।
দেবদাস বিশ্বাস জানান, “২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরামপুরে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলাম। পরিবারসহ দেশে ফিরতে গিয়ে বিএসএফ আমাদের আটক করে।”
তরিকুল ইসলাম বলেন, “২০২০ সালে দালাল চক্রের মাধ্যমে ভারতের উত্তর প্রদেশে গিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন কাজ করার পর অবৈধ বসবাসের অভিযোগে পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে।”
মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, “আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে সীমান্তপথে অবৈধভাবে বিদেশ যাত্রা কতটা বিপজ্জনক। দালাল চক্রের প্ররোচনায় সহজ জীবনের আশায় বিদেশ পাড়ি দেওয়া অনেক বাংলাদেশির জীবনে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে।