
পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার দুই গুনী শিক্ষক জেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। প্রধান শিক্ষক ক্যাটাগরিতে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন দক্ষিণ কৌরিখাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মো. আসলাম। আর সহকারী শিক্ষক ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েছেন দক্ষিণ কামারকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব মো. রফিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মস্পৃহা, সৃজনশীল শিক্ষণপদ্ধতি ও বিদ্যালয় পরিচালনায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের এই সাফল্যে নেছারাবাদ উপজেলা তথা পুরো পিরোজপুর জেলার শিক্ষক সমাজে আনন্দ ও গর্বের সঞ্চার হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ এই দুই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। তাদের মেধা, নিষ্ঠা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসাই এ অর্জনের মূল চালিকা শক্তি।
সোহাগদল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ বলেন, “এই সম্মান শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং এটি পুরো শিক্ষা পরিবারের জন্য এক অনন্য মর্যাদা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
সহকারী শিক্ষক জনাব মো. রফিকুল ইসলাম তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষকতা আমার কাছে শুধু একটি পেশা নয়, এটি জীবনের ব্রত। এ সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত ও গর্বিত। এই স্বীকৃতি আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। আমি চাই আমার শিক্ষার্থীরা নৈতিকতা, মানবিকতা ও জ্ঞান অর্জনে দেশের সম্পদ হয়ে উঠুক।”
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক জনাব মো. আসলাম বলেন, “এ অর্জন আমার একার নয়, এটি পুরো বিদ্যালয়, শিক্ষার্থী, সহকর্মী শিক্ষক ও অভিভাবকসহ পুরো শিক্ষা পরিবারের সম্মিলিত সাফল্য। শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। জেলার শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়া আমাকে আরও দায়িত্বশীল করেছে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, “আমাদের নেছারাবাদ উপজেলার দুই শিক্ষক জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এটি শুধু তাদের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং পুরো উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য এক বিশাল সাফল্য। তাদের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসাই এ অর্জনের মূল চালিকা শক্তি। এই সাফল্য আগামীতে অন্য শিক্ষকদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”