ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ছোট ছেলে আভনার নেতানিয়াহুর বিয়ে স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সামরিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে শেষ পর্যন্ত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করতে বাধ্য হয় পরিবারটি।
আভনার নেতানিয়াহুর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল তেলআবিবের কাছে অবস্থিত ‘রোনিত ফার্ম’ নামের এক অভিজাত ভেন্যুতে। বিয়েতে শতাধিক অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে বিশেষভাবে লক্ষণীয়, কোনো রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী বা নেসেট সদস্য আমন্ত্রিত ছিলেন না। আভনারের দীর্ঘদিনের সঙ্গী অমিত ইয়ার্দেনির সঙ্গে এই বিয়েটি ঘনিষ্ঠ পরিসরে করার পরিকল্পনা ছিল।
ইসরায়েলের ভেতরে এই বিয়ে নিয়ে শুরু থেকেই সরকারবিরোধীদের সমালোচনা চলছিল। তাঁদের অভিযোগ, গাজায় জিম্মিদের বন্দি অবস্থায় রেখে সরকার দলীয় নেতারা পরিবারে উৎসবে ব্যস্ত, যা অত্যন্ত বেমানান।
এর মধ্যেই শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র এবং শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। পাল্টা জবাবে ইরানও হামলা শুরু করে, যার ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বোমা হামলার সাইরেন বাজতে থাকে, সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
বিয়ের স্থান ছিল তেলআবিব থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে কিবুৎজ ইয়াকুম। অনুষ্ঠানের জন্য নেওয়া হয়েছিল ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি সোমবার অনুষ্ঠানের দিন ১.৫ কিমি ব্যাসার্ধে আকাশসীমাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে নেতানিয়াহু পরিবার বিয়ে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।
ইসরায়েল-ইরানের উত্তপ্ত পরিস্থিতি শুধু রাজনীতি বা যুদ্ধক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই—তার প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও। আভনার নেতানিয়াহুর বিয়ে স্থগিত হওয়া তারই বাস্তব উদাহরণ।