তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সমাজে ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে স্থানীয় পর্যায়ে অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো হয়, যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ক্ষতি করে না, বরং সামাজিক স্থিতিশীলতা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেয়। এ বিষয়ে তথ্য কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় ও কঠোর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৪ মে) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্টচেকিং’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “একটি মিথ্যা তথ্য কিংবা গুজব যদি সময়মতো প্রতিহত না করা যায়, তা বড় ধরণের সামাজিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। তাই তথ্য কর্মকর্তাদের সজাগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে যেন ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে কোন হানাহানি বা সংঘাত না ঘটে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই এখনো গত জুলাই–আগস্টের গণ-আন্দোলনকে মেনে নিতে পারেনি। তারা সমাজে ভিন্ন বার্তা ছড়াতে চায়। মিথ্যাচার এমনভাবে ছড়ানো হচ্ছে, যেন সেই সময় কিছুই ঘটেনি। বরং ছাত্ররাই পুলিশকে মারধর করে ক্ষমতা দখল করেছে, এমন প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অপতথ্য ও সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে যাচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গত ৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, দেশি ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এবং বিদেশি গোষ্ঠীগুলোর যৌথ প্রয়াসে গুজব ও অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “এমন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী রয়েছে যারা সরকারের সংস্কারমূলক কাজগুলোকে সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবীর ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মামুনুর রশীদ ভূঞাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।