ভারতের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও উত্তেজনার বার্তা দিল পাকিস্তান। ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ হিসেবে ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘আব্দালি উইপন সিস্টেম’।
শনিবার (৩ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর পরিচালনাগত প্রস্তুতি যাচাই এবং উন্নত নেভিগেশন ও কৌশলগত সক্ষমতার পরীক্ষা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এটি পাকিস্তানের কৌশলগত বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রমাণ করে, যা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ভারতীয় অভিযোগ অনুযায়ী, পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত দিল্লি দৃঢ় কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন।
হামলার জেরে ২৩ এপ্রিল ভারত একতরফাভাবে ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ স্থগিত করে। এর পাল্টা জবাবে ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান জানায়, তারা কার্যকরভাবে ‘সিমলা চুক্তি’ও স্থগিত করতে পারে। এমনকি ভারতের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা ও তিন বাহিনীর প্রধানরা এই পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামরিক মহড়া ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তাকে আরও হুমকির মুখে ফেলছে। বিশেষ করে দুই দেশের পারমাণবিক সক্ষমতা এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।