পিরোজপুর জেলা যুবদলের সদ্য বহিষ্কৃত সাবেক আহ্বায়ক মো. মারুফ পোদ্দার (৪৮) চাঁদাবাজি মামলায় যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড নামাযপুর এলাকার মৃত রুস্তম আলী পোদ্দারের ছেলে এবং এক সময় ছাত্রদল নেতা হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিগত ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় পিরোজপুর শহরের ক্লাব রোডে পারিবারিক মালিকানাধীন বিলাস হোটেল থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা দায়ের করেন। মামলায় নামীয় আসামি হিসেবে মারুফ পোদ্দার ছাড়াও মিরন মোল্লা (৫০) ও মিলন মুন্সি (৫০) এর নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী জুয়েল শেখ অভিযোগ করেন, তিনি বলেশ্বর ব্রিজ সংলগ্ন মেসার্স রুমু এন্টারপ্রাইজ নামে ইট-বালুর ব্যবসা করেন এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে মারুফ পোদ্দার তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে ৫ আগস্ট দুপুরে মারুফ ও তার সহযোগীরা কুরাল, দা, লাঠি ও হটস্টিক দিয়ে জুয়েল শেখ ও তার পার্টনার রিপনকে মারধর করে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত মারুফ পোদ্দারকে থানায় আনা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
এই ঘটনাটি পিরোজপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজে আতঙ্ক বাড়িয়েছে।