
দক্ষিণ–পূর্ব আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নতুন সার্কুলেশন তৈরি হয়েছে, যা আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।
বিডব্লিউওটি জানায়, সার্কুলেশনটি শক্তি সঞ্চয় করে পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে কিনা, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের দিক-দিশা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সিস্টেমটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর প্রভাবে মাসের শেষদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
একই দিনে আরও একটি পোস্টে শীতের প্রবাহ সম্পর্কে তথ্য দেয় বিডব্লিউওটি। তারা জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের আমেজ থাকলেও নভেম্বরের বাকি দিনগুলোতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
তাদের মতে, এ সময়ে তাপমাত্রা কখনো বাড়বে, আবার কখনো কমবে—অর্থাৎ আবহাওয়া থাকবে দোলাচলে। সারাদেশে প্রকৃত শীত অনুভব করতে হলে শৈত্যপ্রবাহের আগমনের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে ‘এই শীত, এই গরম’–এর মতো আবহাওয়ার ওঠানামা অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে আগামী কয়েকদিন গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত আবহাওয়ার আপডেট অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।